স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন মোল্লা জানান, দুই সন্তানের জনক বশির প্রায় ৫ বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান বশিরের স্ত্রী। একপর্যায়ে বশিরের স্ত্রী চট্টগ্রামে গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নেন।
মিলন মোল্লা আরও জানান, বশির মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার পর এলাকার বিভিন্ন ঘর থেকে প্রায়ই কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করতো। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন তাকে মারধরও করে। মানসিক ভারসাম্যহীন বশির রাতে বসতঘরে বসে ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন গিয়ে তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বশিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন বশির মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।