রিফাত শরীফ হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি বরিশাল কারাগারে

রিফাত হত্যাকাণ্ডরিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরগুনা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের বরগুনা থেকে বরিশালে নেওয়া হয়।

আসামিরা হলেন কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও হাসান। বাকি দুই আসামির অন্য মামলা চলমান থাকায় তাদের বরগুনা কারাগারে রাখা হয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

বরগুনা জেলা কারাগারের জেলার আবু ইউসুফ বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় বরগুনা কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা থেকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন বিকালে তিনি মারা যান। পরের দিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা হয় ২৭ অক্টোবর। এতে ছয়জনকে ১০ বছর, চার জনকে ৫ বছর ও একজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন শিশু আদালত।