আ. লীগের দুই গ্রুপ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩৩

আহত তিন পুলিশ সদস্যবরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, শুক্রবার বিকালে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রুমা সরদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ নিয়ে তার সমর্থকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অপরদিকে, এ বিষয়টি নিয়ে নৌকার প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিম মিলন চৌধুরীর সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন।

বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমা সরদারের সমর্থকরা। এ ঘটনায় দুই পক্ষ রাত ১০টার পর দক্ষিণ উলানিয়ার লালগঞ্জ বাজার এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন এবং ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে তারা পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তখন বিবাদমান দুই পক্ষ পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ত্রিপক্ষীয় এই সংঘর্ষে দুই প্রার্থীর কমপক্ষে ৩০ জন সমর্থক আহত হন। পাশাপাশি ইটের আঘাতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকি আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ভবিষ্যতে আর যেন কোনও সংঘর্ষ না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১০ ডিসেম্বর দক্ষিণ উলানিয়া ও উত্তর উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।