যেখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগীরা!

সপ্তাহখানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার অফিসের এক কর্মচারী। শহরের কলেজ খেয়াঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হলেও প্রায়শই বাইরে বের হতে দেখা যায় তাকে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, অনেক আত্মীয়স্বজনও দেখতে আসছে তাকে।

কয়দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন সদর উপজেলা পিসিপাশা ইউনিয়নের এক যুবক। তিনি আছেন জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে। কিন্তু তাকে হাসপাতালেও রাখা যাচ্ছে না। প্রায় সময়ই তিনি ওষুধ কিংবা এটা-সেটা কিনতে বের হচ্ছেন।

ঝালকাঠি জেলায় করোনার সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন আক্রান্তদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং হোম আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকা রোগীরা নিয়ম-কানুন না মেনে বাইরে এসে ঘোরাঘুরি করছেন। এমনকি আত্মীয়-স্বজনরাও আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে এসে দেখা করে যাচ্ছেন। ফলে জেলায় করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ঝালকাঠি জেলায় ৩ জন হাসপাতালে ও ১২১ জন হোম আইসোলেশনে আছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানান, এতগুলো রোগীর আইসোলেশনে থাকার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের জনবল নেই। গতবার জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যে ভূমিকা রেখেছিল এবার তারা এ বিষয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করছে না।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী বলেন, আইসোলেশনে যারা আছেন তাদের আটকানোর মতো জনবল আমাদের নেই। আর কেউ ঘোরাফেরা করলো তো আমরা আটকে রাখতে পারি না। আমরা চেষ্টা করবো আইসোলেশনে থাকার রোগীরা বাইরে বের না হয়। রোগীদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে।