পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবার পেলো পাকা বাড়ি

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা বুঝে পেয়েছেন পাকা ভবন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সোয়া ১১টায় মুজিববর্ষের এই উপহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাড়িহারা মানুষগুলোকে দেখানো স্বপ্নের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করলেন। এ প্রক্রিয়ার এটি প্রথম ধাপ।

ঘর পেয়ে রহিমা বেগম বলেন, সরকার বন্দর বানাতে আমাদের বাড়ির জায়গা নিয়ে গেছে (অধিগ্রহণ করেছে)। স্বপ্নেও ভাবি নাই ঘর-বাড়ি-গাছপালা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার পরও চার কাঠা এবং তিন কাঠা জমিতে বানানো একতলা পাকা বাড়ি পাবো ।

বৃহস্পতিবার দরিদ্র-হতদরিদ্র জেলে-কৃষকরাই এই পাকা ঘরের মালিকানা বুঝে পেয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পায়রা প্রান্তে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিববুর রহমান মহিব এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুনর্বাসিত পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোসাম্মৎ হেনা বেগম ও ফোরকান প্যাদা।

উল্লেখ্য,পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ৫০০টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৪২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া পুনর্বাসিত উপকারভোগীদের জন্য জীবন ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।