দৌলতখানে আগুনে ৬ দোকান পুড়ে ছাই

ভোলার দৌলতখান বাজারে ঈদের দিন রাতে আগুন লেগে একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারসহ ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের টিম আসার আগেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় দৌলতখান বাজারের উত্তর মাথায় জৈনপুরী পীর সাহেবের বাড়ির সামনের একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, আগুনে তাদের দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অলিউল্লাহ নামে এক ব্যক্তির মুদি দোকানে আগুন লাগতে দেখেন। সে আগুন নেভাতে তারা প্রাণান্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাদের দাবি, দুই কিলোমিটার দূরের ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করেও তারা সময়মতো না আসায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও, বিদ্যুৎ বিভাগকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এলাকাবাসী অনেকবার ফোন করেও কোনও সাড়া পাননি বলেও অভিযোগ করেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস পুড়ে যাওয়া এলাকায় আসার পর বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, নিউ দৌলতখান ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, রিপনের ফাস্টফুডের দোকান, আলমগীর ডাক্তারের ওষুধের দোকান, অলিউল্লাহর মুদি দোকান, করিমের ভুষা মালের আড়ত ও মিন্টুর একটি খালি ঘর।

এ ব্যাপারে ফোন করলে দৌলতখান ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান সাইদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয়দের ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। দৌলতখান পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কেউ ফোন করেনি। একজন লোক আসার সাথে সাথেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার, দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান প্রমুখ।