নির্বাচনে জয়ের ৫ দিনের মাথায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

গত ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর উপজেলার ২নং কদমতলা ইউনিয়নের ৫ খানাকুনিয়ারী ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রিয়াজ হোসেন উজ্জল। তবে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় শুক্রবার (২৫ জুন) নবনির্বাচিত এ ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ইউপি সদস্যের সঙ্গে জালাল ফকির (৫০) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রিয়াজ হোসেনের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের স্ত্রী মিতু আক্তার জানান, জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনে বারবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার কারণেই তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। যে ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে, সে ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবে জড়িত ছিলেন না।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জন নামীয় এবং আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।

উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনের পর ২৩ জুন বুধবার রাতে কদমতলা ইউনিয়নের খানাকুনিয়ারী এলাকায় মারামারি ও হামলার ঘটনায় নাসিমা আক্তার নামের একজন বাদী হয়ে নবনির্বাচিত রিয়াজ হোসেনসহ ১৪ জন নামীয় ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।