চাল আত্মসাৎ মামলায় কারাগারে সেই চেয়ারম্যান

হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারসহ ছয় জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপর পাঁচ জন হলেন—তৎকালীন (২০১৭ সাল) বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মজিবুর রহমান, তালিকা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও তৎকালীন বাউফল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মেসবা উদ্দিন তালুকদার এবং সংশ্লিষ্ট দুই ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন ও আশরাফুল আলম কামাল।

দুদকের আইনজীবী আরিফুল হক টিটো বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চাল আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৮ সালে মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। পরে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মানিক লাল দাস মামলা নিষ্পত্তি দাবি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে অভিযোগ পুনঃতদন্তে দুদককে নির্দেশ দেন আদালত। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ারম্যান শাহিনসহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আবারও অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আজ আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে বাউফল উপজেলার সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিনকেও প্রকাশ্যে মারধর করেন চেয়ারম্যান শাহিন। ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সালিশে বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।