বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় পাঁচ নদীর ৯ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং ভরা অমাবস্যার প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দক্ষিণাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টায় ভোলার তজুমুদ্দিনে সুরমা ও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ০.৬২ সেন্টিমিটার এবং ৩টায় একই নদীর দৌলতখানে ০.৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

তিনি জানান, একইভাবে বিষখালী নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে বেলা ১০টায় পানি বিপৎসীমার ০.৪৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা পয়েন্টে বেলা পৌঁনে ১১টায় ০.০২, বেতাগী পয়েন্টে বেলা পৌনে ১২টায় ০.১, ঝালকাঠি পয়েন্টে দুপুর ২টায় ০.১৭, পিরোজপুরের কঁচা নদীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় ০.১৫, পায়রা নদীর বরগুনার আমতলী পয়েন্টে বেলা ১১টায় ০.০৭ এবং পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে একই নদীর পানি বেলা ১২টায় ০.১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কীর্তনখোলা নদীর পানি আজ দুপুর আড়াইটায় বিপৎসীমার ০.২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানি ড্রেন ও খাল দিয়ে প্রবেশ করায় নগরীর সদর রোড, হাটখোলা, আমানতগঞ্জ, পলাশপুর, রসুলপুর, ভাটিখানা, সাগরদী, ধান গবেষণা রোড, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনি, আগরপুর রোড, বগুড়া রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং আশ্বিনের ভরা অমাবস্যার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর এবং নদী বন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।