অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত, ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত 

উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বেড়েছে বাতাসের চাপ। লঘুচাপের প্রভাবে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
 
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। 

এদিকে অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে জেলার রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে অধিকাংশ মাছের ঘের ও পুকুর।

সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে রাঙ্গাবালী উপজেলার এফবি ‘মা’ ফিশিংবোট ডুবে গেছে। ওই বোটে থাকা ১২ জেলে ও মাঝিকে উদ্ধার করেন অন্য জেলেরা। উদ্ধারকৃত ১২ জেলে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মহিপুর মৎস্যবন্দরে ফিরে এসেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডুবে যাওয়া ফিশিংবোটের মালিক বাবর তালুকদার।
 
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে সাগরে মাছ শিকারে আমার এফবি ‘মা’ ফিশিংবোটটি নিয়ে মাছ ধরতে যান জেলেরা। কিন্তু সোমবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৎস্যবন্দর মহিপুরে রওনা হন তারা। পথে বোটটি ডুবে যায়। পরে অন্য একটি ফিশিংবোটের সাহায্যে জেলেরা নিরাপদে মহিপুরে ফিরে আসেন। 

আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর চরম উত্তাল থাকায় হাজারো মাছ ধরার ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।