মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন কাউন্সিলর

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর ও মহানগর যুবলীগ সদস্য বিপ্লবের মধ্যে ফোনালাপের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নয় মিনিট ৫১ সেকেন্ডের কথোপকথনে সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তিনি।

ফোনালাপে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং এক সময় ‘হাসানাত মুক্ত’ বরিশাল স্লোগানধারীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ায় অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীরের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিপ্লব।

ফোনালাপে তিনি বলেন, ‘করোনারে সময় হাজার হাজার টন চাউল দেছে, কোটি কোটি টাকা দেছে সরকার, ও আমাগো এক ছটাক চাউল দেয় নাই, চাইরআনা পয়সা দেয় নাই। ও দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। ওর সাথে বুইজ্যা খাইতে না পারলে বরিশাল শহরে থাকমু না। সিনিয়রগো লগে কোনোদিন আমাগো সম্পর্কের অবনতি হইবে না, কিন্তু ওর লগে কোনোদিন আপোস নাই, লাগলে মইর‌্যা যামু।’

আলাপের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিপ্লবকে দাওয়াত দেন এ কে এম জাহাঙ্গীর। এ সময় বিপ্লব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন আমরা আমাগো মতো পালন করমু। আমরা এই দল করি না, আমি বিএম কলেজে তিন বার নির্বাচন করছি না।’

বিপ্লব আরও বলেন, ‘আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশালের অভিভাবক, তার চাইতেও ও (সাদিক) বড় নেতা। ওর আমাগো লাগে নিহি। ও আমার পরিবার সম্পর্কে মন্তব্য করলো কেন আমাগো এলাকায় আইস্যা। ওর এত বড় সাহস ! ও বোঝে না আমরা কারা...মেয়রের চেয়ার সেগুন কাঠের রিভলিং চেয়ার। আমার কাউন্সিলরের চেয়ারডাও সেগুন কাঠের রিভলিং চেয়ার। ও জনগণের প্রতিনিধি। আমরা কাউন্সিলররাও জনগণের প্রতিনিধি। ও সেভাবে আমাগো মূল্যায়ন করে নাই সাড়ে তিন বছরে।’

ফোনালাপের বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দাওয়াত দিতে তাকে (বিপ্লব) ফোন দিয়েছিলাম। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ফোনালাপ রেকর্ড করেছেন।’

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলন, ‘এ কে এম জাহাঙ্গীর ভাই আমার বিরুদ্ধে ফোনালাপের রেকর্ডিংয়ের যে অভিযোগ এনেছেন, তা সত্য নয়। আমি আমার ক্ষোভ থেকে কথাগুলো বলেছি। তবে এ ফোনালাপ আমি রেকর্ড করিনি কিংবা ছাড়িনি। কে বা কারা ছেড়েছে তা আমিও জানি না।’