শত বছরের খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার দিয়াশুর মহল্লায় শত বছরের পুরোনো খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালের মধ্যে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে পানিতে আমন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। তারা জলাবদ্ধতা নিরসনসহ খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, দিয়াশুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ি থেকে বাংলাবাজার হয়ে যাওয়া মোল্লার খালটি শত বছরের পুরোনো। কয়েকদিন আগে খালের মধ্যবর্তী স্থানে দিয়াশুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার ও সাইদুল হাওলাদার ২০০ ফুট বাঁধ নির্মাণ করেন। পরে বালু দিয়ে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন তারা। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২০০ একর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে।

পাশাপাশি কালনা ও দিয়াশুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়েছেন। ১০টি মুরগির ফার্ম ও একাধিক গরুর ফার্মে পানি ঢুকে গৃহস্থরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া দিয়াশুর ভোলাই মল্লিক বাড়ি থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত কার্পেটিং সড়কটি পানিতে তলিয়ে বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে।

কালনা গ্রামের আবু আকন বলেন, বালু ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমার দুই একর জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের লাল চান ফকির বলেন, খাল ভরাটের কারণে পাঁচ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। একই অভিযোগ অসংখ্য মানুষের।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ইখতিয়ার হাওলাদার অবৈধভাবে সরকারি খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি খালটি ভরাট করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা শোনেননি। খাল ভরাটের ফলে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি ও মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ‍আবেদন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য পানি নিষ্কাশনসহ খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাল ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করে দুলাল হাওলাদার বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের মালিকানার সম্পত্তিতে বাঁধ দিয়ে ভরাট করেছি। আমাদের সড়কের প্রয়োজন।