যে কারণে বিসিএস দেওয়া হলো না শতাধিক পরীক্ষার্থীর

লঞ্চের স্টাফদের গাফিলতির কারণে ভোলার শতাধিক পরীক্ষার্থী সময়মতো বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীক্ষার্থীরা জানান, লঞ্চটি ছেড়ে আসার পর আবারও ফিরে গিয়ে যাত্রী ওঠানোয় তাদের পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।

বিসিএস পরীক্ষার্থী আবদুস সামাদসহ একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ৩টার দিকে ভোলার মনপুরা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী তাসরিফ-২ লঞ্চে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। লঞ্চটি মনপুরা থেকে ছেড়ে ভোলার তজুমদ্দিন, হাকিমউদ্দিন, দৌলতখান ও সদরের ইলিশা বিশ্ব রোড ঘাটে ভিড়ে যাত্রী উঠিয়ে সন্ধ্যার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। লঞ্চে হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, হাকিমউদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরের দেড় শতাধিক বিসিএস পরীক্ষার্থী ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছে লঞ্চটি আবার ঘুরিয়ে হাকিমউদ্দিন লঞ্চঘাটে চলে আসে। তখন রাত ১২টার বেশি বেজে যায়। এ বিষয় লঞ্চের স্টাফদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, তাদের আরেকটি লঞ্চ তাসরিফ-৪-এর সমস্যা হওয়ায় ওই লঞ্চের যাত্রীদের নিতে এসেছেন।

পরীক্ষার্থীরা আরও জানান, সে সময় তারা প্রতিবাদ করলে লঞ্চের স্টাফ ও সুপার ভাইজার শুক্রবার সকাল ৭টার মধ্যে তাদের ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছে সকাল ১০টার দিকে। সে সময় পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীরা দ্রুত নেমে পড়েন। কিন্তু একেক জনের হল একেক স্থানে হওয়ায় শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে ওই লঞ্চের সুপারভাইজার জামাল দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘হাকিমউদ্দিন ঘাটে আমাদের আরেকটি লঞ্চ চরে আটকে যায়। ওই লঞ্চে অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থী ও কয়েকজন গুরুতর রোগী ছিলেন। তাদের আনতে আমরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ ঘাট থেকে লঞ্চ ঘুরিয়ে হাকিমউদ্দিন ঘাটের উদ্দেশে রওনা দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুপুরের দিকে অনেক পরীক্ষার্থী আমাদের এসে বলে তারা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেননি। আমরা তাদের বিনা টাকায় গন্তব্যে পৌঁছে দেবো।’