ভোটারদের খাওয়ানোর খিচুড়ি গেলো এতিমখানা-মাদ্রাসায়

বাবাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী করতে গ্রামবাসী ও ভোটারদের জন্য খিচুড়ি-মাংসের আয়োজন করেছিল ব্যবসায়ী ছেলে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে রান্না করা খাবার জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাতে খাবার বিতরণের আগেই সব খাবার জব্দ করা হয়।  

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদের অনুসারীদের জন্য এমন আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত নির্বাচনে সরোয়ার মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একটি কেন্দ্র বন্ধ থাকলে নির্বাচনে জয়ী হতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ বছর আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে নির্বাচনের ছয়মাস আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সরোয়ার।

স্থানীয়রা আরও জানান, রামপট্টির মানুষদের জন্য খাবার ও নগদ অর্থের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরকে জানায়।  এরপর সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে সোহাগসহ তার নির্বাচনি কর্মী ও সমর্থকরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ আদালত রান্না হওয়া খাবার জব্দ করে। এরপর গরুর মাংস দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি চারটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।  

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে রামপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোটারদের জন্য রান্না করা খিচুড়ি জব্দ করে তা এতিমখানায় বিতরণ করেছে। অভিযানকালে সেখানে খাবারের উদ্যোগ নেওয়া প্রার্থী ও তার ছেলেকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে প্রার্থী সরোয়ার মাহমুদকে এ জন্য সতর্ক করে দেওয়া হবে। তাদের উদ্যোগ নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন।