বরগুনার ৪ ইউনিয়নে নৌকার জয়

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার পাথরঘাটার তিনটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। পাথরঘাটা সদর, নাচনাপাড়া, রাহয়ানপুর, ও চরদুয়ানি ইউনিয়নে রবিবার (২৮ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে চরদুয়ানী ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নৌকার প্রার্থীকে আগেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী হাওলাদার ঘোষিত ফলাফলে পাথরঘাটা সদরে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেন ১৩ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান মোল্লা পেয়েছেন ৬৮৪ ভোট। রায়হানপুর ইউনিয়নে মাইনুল ইসলাম সাত হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭৪ ভোট। নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ মিয়া ৫ হাজার ৩৪৪ ভোট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুর রহমান সালু হাতপাখা প্রতীকে এক হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছেন।

রবিবার সকাল ৮টায় পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর, চরদুয়ানী, রায়হানপুর ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৩৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে শুধু পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়। 

চরদুয়ানি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থী আবদুর রহমান জুয়েল নির্বাচিত হয়েছে। ওই ইউনিয়নে শুধু সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোটগ্রহণ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিন প্লাটুন বিজিবি, তিন প্লাটুন র‍্যাব, ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। চারটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নয় জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পুরুষ পদে ১৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী হাওলাদার বলেন, কোনও সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন হয়েছে।