এইচএসসি পাস করে ‘এমবিবিএস চিকিৎসক’ তিনি

নিজেকে এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে চেম্বার বসিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা রফিকুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উপজেলার টরকী বন্দরের আনোয়ারা মেডিক্যাল হলে চেম্বার বসিয়েছিলেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। ওই ফার্মেসির মালিক মো. শহিদুল্লাহকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এ দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম শেরপুর সদরের চরমুচারিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। এইচএসসি পাস করার পর আল্ট্রা-মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করার পর এ প্রতারণা শুরু করেন তিনি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ও সাইনবোর্ডসহ প্যাডে এমবিবিএস চিকিৎসক লিখে টরকী বন্দরে আনোয়ারা মেডিক্যাল হলে বসে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। এ ছাড়া উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজারের সেবা মেডিক্যাল হল নামের আরেকটি চেম্বারে রোগী দেখতেন। সেখানেও ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের চিকিৎসার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা রফিকুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে সে চিকিৎসক নয়। এ সময় তাদের সঙ্গে বাগবিকতণ্ডার একপর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকাবাসী তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসকে জানান। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রফিকুল তার দোষ স্বীকার করেন। এরপর তাকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। টাকা জমা না দিলে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া তাকে সহযোগিতার অপরাধে চেম্বার মালিক শহিদুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শহিদুল্লাহ জরিমানার অর্থ দেওয়ায় তাকে ২০ দিনের কারাদণ্ড থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।’

বিচারক আরও জানান, কারাদণ্ড দিয়ে রফিকুলকে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।