তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড়

বিজয় দিবসসহ টানা তিন দিনের ছুটি উপভোগ করতে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ভিড় করছেন দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল থেকেই পর্যটকরা সৈকতের বিভিন্ন স্পটে আসতে থাকেন।

সমুদ্রে সাঁতার কাটাসহ সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলছেন পর্যটকরা। শিশুরা সৈকতের বালিয়াড়িতে বালু নিয়ে খেলছে। অনেকে আবার সৈকতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সৈকতের ১৮ কিলোমিটার পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

এদিকে পর্যটকের উপস্থিতিতে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে উচ্ছ্বসিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আগত এসব পর্যটকের নিরাপদ ভ্রমণে মাঠে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন পর্যটকরা।

খুলনা থেকে আগত ফারজানা ইসলাম বলেন, আমি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করি। কুয়াকাটায় ঘুরতে আসার ইচ্ছা অনেক দিনের। কিন্তু সেভাবে ছুটি না পাওয়ায় আসা হয়নি। তাই তিন দিনের ছুটি পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

কুয়াকাটায় ভিড় করছেন দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক

ঢাকা থেকে আসা সবুজ মিয়া জানান, তিন দিনের ছুটি উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। বাচ্চাদের নিয়ে সৈকতে সাঁতার কেটেছি। এই খোলা পরিবেশ পেয়ে বাচ্চারা বেশ আনন্দিত। 

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু জানান, অনেক দিন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুয়াকাটায় পর্যটক আগমন বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে আজ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। এভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন। 

কুয়াকাটা টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এ মাসের প্রথমদিক থেকেই কুয়াকাটা পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে কুয়াকাটার ৯৫ শতাংশ হোটেল বুকিং রয়েছে। হাজারও পর্যটকের আগমনে আগের রূপ ফিরে পাচ্ছে কুয়াকাটা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কুয়াকাটার সকল পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম টহল দিচ্ছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।