ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় স্কুলছাত্রী আহত

পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের সরকারি কলেজ রোডের বিএডিসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পথচারী মেহেরীন আফরোজ (১২) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ঘটনার পরই তিনটি মোটরসাইকেল আটক করেছে পুলিশ। আহত স্কুল শিক্ষার্থী বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে পটুয়াখালী গার্লস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থীর পিতা এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই মেয়েকে নিয়ে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সরকারি কলেজের সামনে গেলে শহিদুল নামে একজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার মেয়ে মেহেরীন আফরোজ ও আমি আহত হয়েছি।’

আটক করা তিনটি মোটরসাইকেল

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের একটি মিছিল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে বিএডিসির এলাকায় গিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলআমিন হাওলাদার দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে বাঁধঘাট এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সদরের দিকে যাচ্ছিলাম। সরকারি কলেজ এলাকায় গেলে মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরে বিএডিসি এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। পুলিশ এসে আমাদের ওপরে লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় আমদের কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বাসা থেকে আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে পুলিশ।’

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হৃদয় আশিষ দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। এতে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ প্রতিহত করবে এবং হামলা অব্যাহত থাকবে।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামন বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।’