সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার: হত্যার কারণ জানালো পুলিশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বড় ভাই সোহাগ হাওলাদারের (৪২) ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ। সোহাগকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম। তিনি জানান, গত ৫ জুন (রবিবার) বিকালে কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সোহাগের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় সাংবাদিক প্রদীপের। এরপর রাত ৯টার দিকে সোহাগ চাকু দিয়ে জাফরের পেটে ও হাতে আঘাত করে পুকুরে ফেলে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনার ছয় দিন পর ১১ জুন (শনিবার) বিকালে ঢাকার উত্তরা থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। আজ দুপুরে তাকে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৫ জুন বিকালে সোহাগের সঙ্গে আবু জাফর প্রদীপের বাকবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই সাংবাদিক থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মধ্যরাতে টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার ডান হাতে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ৬ জুন (সোমবার) বিকালে নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

আবু জাফর প্রদীপ উপজেলার রজপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া দলিল লেখক ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবেও কাজ করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।