সাগরকন্যায় পর্যটকদের ভিড়, হোটেল-মোটেল খালি নেই

কয়েকদিনের টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখর সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ইতোমধ্যে প্রায় সবগুলো হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। কোনও কক্ষ খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং নিয়েছেন পর্যটকরা। এমনটি জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় দেখা গেছে নানা বয়সী মানুষের। সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে নেমেছেন হাজারো পর্যটক। আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সবাই।

পর্যটন ব্যবসায়ী ও হোটেল-মোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছেন অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক। গত বুধবার সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা। তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।কুয়াকাটা 02

বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটকরা সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরেছেন। কেউ কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ উপভোগ করেছেন। এর মধ্যে সমুদ্রের কোলঘেঁষে ছবি তুলেছেন অনেক পর্যটক।

এদিকে, পর্যটকদের আগমনে বেচাকেনা বেড়েছ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। 

জামালপুর থেকে আসা পর্যটক রনজন বিহারি বলেন, আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। পূজার ছুটিতে সহকর্মীদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি এবং অনেক আনন্দ করেছি। 

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক অনিবেশ দেব বলেন, আমি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করি। দুর্গাপূজার ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। অনেক আনন্দ করেছি। অনেকদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না, কুয়াকাটায় এসে পরিবারের সবাই খুশি। এখানের পরিবেশ আমাদের ভালো লেগেছে। তবে সৈকতের বিচ একটু অগোছালো মনে হয়েছে।কুয়াকাটা 03

কুয়াকাটা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পূজা উপলক্ষে টানা ছুটিতে বিপুল পর্যটক এসেছেন কুয়াকাটায়। প্রায় সবগুলো হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। ছুটির দিনগুলোতে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পর্যটক থাকেন। এজন্য হোটেল-মোটেলের কক্ষ খালি নেই। 

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় তৎপর আছি। বিভিন্ন বিষয়ে মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। কেউ কোথাও হয়রানির শিকার হলে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের অভিযোগ পাইনি আমরা।