ভোলায় জেলেদের সঙ্গে নৌ-পুলিশের সংঘর্ষ, আটক ২৯

ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় জেলে ও নৌ-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নৌ-পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৯ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ ও জেলা মৎস্য বিভাগ।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর জেলেদের কাছ থেকে ১৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি ইনিঞ্জচালিত নৌকা ও ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।

ভোলা নৌ-পুলিশের ওসি মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জেলেদের আটক করতে গিয়ে নৌ-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ চার জন আহত হন। আহত দুই পুলিশ হলেন এসআই ডালিম ও এএসআই বিল্লাল।’

তিনি বলেন, ‘অভিযানে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২০ কেজি ইলিশ  জব্দ ও ১৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। উদ্ধার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘নিয়মিত নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অভিযানে আটকদের আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।