ধর্মান্তরিত করে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৫

মঠবাড়িয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্মান্তরিত করে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটার মোল্লাখালী গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল হাওলাদার (৫৫), জনি হাওলাদার (৩০), জুথি আক্তার (২৬), সেলিনা বেগম (৫০) ও মঠবাড়িয়ার নলী গোলবুনিয়া গ্রামের মৃত নিরঞ্জন রায়ের ছেলে নিতাই রায় (৪০)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের রনি হাওলাদারের (২০) মোবাইলফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সনাতন ধর্মের অনুসারী ওই ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করা হয়। এরমধ্যে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে তাকে অপহরণ করে কাঠালিয়ায় নিয়ে যায় রনি। পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। স্বজনরা এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পাঁচ মাস পর গত শনিবার রাতে রনিদের বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ছয় জনকে আসামি করে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ সোমবার রাতে কাঠালিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ছোনাউটার মোল্লাখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি রনি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এরপর তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।