বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করলেন আরেক নেতা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই মামুনকে লোকবল নিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল খান। 

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাউফল উপজেলা কৃষি ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মামুনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরছিলেন মামুন। উপজেলা কৃষি ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে চাচাতো ভাই উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল খানের নেতৃত্বে যুবদল কর্মী আল আমিনসহ ৮-১০ জন তার ওপর হামলা চালান। সেইসঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তারা। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, ‘যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজের বাসায় আলোচনা সভা হয়। সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে মামুনের সঙ্গে ফয়সালের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে আলোচনা সভা শেষে মামুনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।’

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। যেভাবে মামুনকে কুপিয়েছে ফয়সাল, তা কোনও সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।’

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘মামুন খানের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। হাড় কেটে যাওয়ায় মগজ দেখা যাচ্ছে। ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল খানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।  

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল আমিনকে আটক করেছি। এখনও মামলা হয়নি। মামুনের পরিবার মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’