পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে কারাগারে তরুণ

পটুয়াখালীতে আলিম পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে আল-আমীন (২০) নামের এক তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই আদেশে মূল পরীক্ষার্থী মো. ইমরানকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মো. নাসির উদ্দীন। 

মঙ্গলবার ( ২৩ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুম মুনিরা কায়ছান অভিযুক্ত আল-আমিনকে এক বছরের দণ্ড দিয়েছেন। এর আগে সকালে পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে মো. ইমরানের পরিবর্তে আল-আমিন পরীক্ষা দিতে এলে এ ঘটনা ঘটে। ইমরান ও আল-আমীনের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বড়চতরা এলাকায়।

পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো. নাসির উদ্দীন বলেন, গত ৬ নভেম্বর থেকে দাখিল পরীক্ষা শুরু হলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে সাত মাদ্রাসার অন্তত ১৬৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। শুরু থেকে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত ৯টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগের মতো মঙ্গলবারেও (২২ নভেম্বর) প্রক্সি পরীক্ষা দিতে অংশ নেন আল-আমীন। প্রক্সির বিষয়টি নেছারিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে একটি সূত্র নিশ্চিত করলে, তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদকে অবহিত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুম মুনিরা কায়ছান পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত আল-আমীনকে এক বছরের দণ্ড দেন। একই আদেশে মূল পরীক্ষার্থী ইমরানকেও তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করেন তিনি। 

কেন্দ্র সচিব আরও বলেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর পক্ষে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রত্যয়ন দিলেও পটুয়াখালী ওয়ায়েজীয়া কামিল মাদ্রাসার ৬৮ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে কোনও প্রত্যয়ন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যে ব্যক্তি প্রক্সি দিয়েছেন তার ছবির সঙ্গে মূল পরীক্ষার্থীর মিল রয়েছে। এ কারণে ইমরানের বিপরীতে আল-আমীন ৯টি পরীক্ষায় অংশ নিতে সক্ষম হন।