প্রতিশ্রুতি রাখেন না জনপ্রতিনিধিরা, ক্ষোভে মেম্বার প্রার্থী হলেন ভিক্ষুক

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন আবদুল জলিল নামে এক ভিক্ষুক।

আবদুল জলিলের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় হলে প্রার্থীরা জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে। সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে প্রতিশ্রুতি রাখেন না। তাদের আচরণে ক্ষুব্ধ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আবদুল জলিল। বর্তমানে সকাল-সন্ধ্যায় গণসংযোগসহ প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। আবার অনেকে প্রার্থী হিসেবে তাকে বাঁকা চোখে দেখছেন। এসব পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আবদুল জলিল। 

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আবদুল জলিল বলেন, ‘ভোটের সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে আসেন প্রার্থীরা। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে দেখা যায় তার উল্টো। গরিবরা কিছু পায় না। বড়লোকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেন জনপ্রতিনিধিরা। সেই ক্ষোভ থেকে প্রার্থী হয়েছি আমি।’

জয়ী হতে পারলে গরিব মানুষের সেবা করবো উল্লেখ করে আবদুল জলিল বলেন, ‘জয়ী হলে সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকবো। এলাকার উন্নয়ন করবো। ভোট যাতে সুষ্ঠু হয়, প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানাচ্ছি। আমার প্রতীক তালা। সবাই আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’

ভোটারদের মধ্যে অনেকে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন দাবি করে এই প্রার্থী বলেন, ‘অসহায় ও গরিব মানুষের সেবা করতে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছি। কারণ গরিবের ব্যথাটা ভালোভাবে বুঝি আমি।’

ভোটারদের কেউ কেউ বলছেন, ‘সরকারি নানা সুবিধাবঞ্চিত হওয়ায় প্রার্থী হয়েছেন আবদুল জলিল। তিনি জয়ী হলে অসহায় ও গরিব মানুষের সেবা করবেন। আমরা তাকেই ভোট দেবো।’