পিরোজপুরে ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, কারাগারে ১১

পিরোজপুরে ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা ও দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল উদ্ধারের অভিযোগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৬৯ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। 

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ওই মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরে মিছিল বের করা হয়। শহরের কালেক্টরেট স্কুলের সামনের সড়ক দিয়ে মিছিলটি যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে এসে হামলা করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে চলে যান আসামিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, চারটি পাইপ ও পাঁচটি বাঁশের লাঠি জব্দ করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছিলাম আমরা। বিনা কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেছিল। তাদের হামলায় আমাদের ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। আমরা মার খেলাম, আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করা হলো। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো।’

এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ছাত্রলীগ মাঠে অবস্থান নিয়েছিল। বিনা উসকানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে ১০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মামলা করেছি আমরা।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রলীগের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার দিন বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার ও ১১ জনকে আটক করা হয়। আটক ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’