চেয়ারম্যানের কাছে মাদক বিক্রির অভিযোগ করায় ৬ জনকে কুপিয়ে আহত

পটুয়াখালীতে চেয়ারম্যানের কাছে মাদক বিক্রির অভিযোগ করায় একই পরিবারের ছয় জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের চার জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

সোমবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে  গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব আটখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- জামাল মোল্লা (৪৩), কামাল মোল্লা (৬৮), কালাম মোল্লা (৩৫), আলমাস মোল্লা (৩২), রুনু নেগম (২৮) ও ফেরদাউসি বেগম (৩০)। এর মধ্যে কামাল মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়েছে।

আহত জামাল মোল্লা বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার বাবা (কালাম মোল্লা) বাড়ির দরজার গেলে তাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করেন মামুন সিকদার (৩২), মোমেন (৪০), বাহাদুর মৃধা (৪৫), মনির সিকদার (৩০) ও সোহেল সিকদারসহ ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী দল। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে তাকে  উদ্ধার করতে যাই। পরে আমাদের পরিবারের আরও ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চার জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকালে কামাল মোল্লাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এতে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অন্য আহতরা জানান,এলাকার মাদক বিক্রেতাদের নামে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন জামাল মোল্লা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। 

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, দুজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, মামুন খারাপ প্রকৃতির লোক। তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। এ বিষয়ে গতকালই আমি থানায় কথা বলেছি, মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর মাদকের বিষয় পুলিশে দেখবে।

গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা তিন জন আসামি গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।