আওয়ামী লীগ নেতা ও ভাতিজাকে অপহরণ করে হাতুড়িপেটার অভিযোগ

বরিশালের হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারি ও তার ভাতিজাকে অপহরণ করে হাতুড়িপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলাউদ্দিন গৌরবদীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)। আহত ভাতিজা আব্দুল মান্নান সঙ্গেই থাকেন।

শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরের জামাল দফাদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদারের দুই ছেলে জিদান ও আলমান এবং ভাগনে মারুফসহ ২০ জনের একটি দল হামলা ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেম্বার আলাউদ্দিন বলেন, ‘শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আমাকে ও ভাতিজাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান এনায়েত হাওলাদারের দুই ছেলে ও ভাগনেসহ ২০ জনের একটি দল। আমাদের অপহরণ করে উপজেলা সদরের জামাল দফাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে যান তারা। সেখানে মারধরের একপর্যাযে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় আমাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী থানায় খবর দেন। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে পাঠায়।’

আলাউদ্দিন আরও বলেন, ‘গত ৪ নভেম্বর হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের সমর্থক ছিলাম। এ কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন। সেই জের ধরে আমাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছেন তারা।’

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমার ছেলেরা এই হামলা চালায়নি। কারা চালিয়েছে তা জানি না।’

হিজলা থানার এসআই সোহরাব হোসেন বলেন, ‘মেঘনা নদীতে মাছ ঘাট নিয়ে আলাউদ্দিন বেপারির সঙ্গে প্রতিপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে আলাউদ্দিন মেম্বার ও তার ভাতিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’