স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ দিন পর সাগরে মিললো লাশ

পটুয়াখালীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সেই স্কুলছাত্রীর (১১) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত আল আমিন (৩৫) নামে এক অটোরিকশাচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আল আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ আল আমিনকে গ্রেফতার করে সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গলাচিপা আদালতে পাঠায়। পরে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আল আমিন। 

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে নদীতে

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চর আন্ডা বাজারে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশাচালক আল আমিন হাওলাদার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন সকালে ওড়না ও বাজার থেকে কেনা জিনিসপত্র ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিভিন্ন আলামত এবং আল আমিনের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। পরে আল-আমিনকে সাথে নিয়ে তার দেখানো স্থানে জাল ফেলে লাশ উদ্ধারে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে অভিযান চালায় পুলিশ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়নি।

ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ওই শিশুর লাশ ভাসতে দেখেন জেলেরা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ওই শিশুকে ধর্ষণ ওহত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন। এ ঘটনার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সে। ঘটনার পর থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য কাজ করে পুলিশ। অবশেষে সোনারচর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।