তরুণীকে অপহরণের ধর্ষণের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে গভীর রাতে দরজা ভেঙে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আসামির অনুপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপহরণের ঘটনায় ১৪ বছর ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে উভয় কারাদণ্ড একসঙ্গে চলমান থাকায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম- বাবুল মাতুব্বর জসিম। রায় ঘোষণাকালে আসামি অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বলেন, ২০১২ সালের ৮ জুন আসামি ভুক্তভোগীর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। এ সময় মা বাধা দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় ১০ জুন ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই লোকমান হোসেনকে। দীর্ঘ তদন্তকালে ভোলা থেকে অপহৃত মেয়েকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা এবং তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জসিমসহ এজাহারভুক্ত পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চার জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।