বাবা-মাকে দেখতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো ছেলের

বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি যাওয়ার পথে বাসচাপায় নিহত হয়েছেন ছেলে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হন। আহতরা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের দুমকি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুর রহমান শাওন (২৪) পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবদুর রব তালুকদারের ছেলে। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আমিনুর।

আহতরা হলেন খোকন মিয়া (৩০), ফাবিয়ান (৯), হাসিব মল্লিক (১৮), প্রসেনজিৎ (২৫) ও শাওন সিকদার (১৯)। 

আমিনুরের খালু সফিকুল ইসলাম বলেন, আমিনুরের বাবা ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে অবসরে যান। বসবাসের জন্য গ্রামের বাড়ি গাবুয়াতে চলে আসেন। আজ বিকালে বাবা-মাকে দেখতে বরিশাল থেকে গাবুয়াতে আসার পথে বাসচাপায় নিহত হন আমিনুর। এ সময় আরও পাঁচ জন আহত হন। 

আহত শাওন শিকদার বলেন, পটুয়াখালী থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা লেবুখালী যাচ্ছিল। আমি অটোরিকশার সামনে বসা ছিলাম। দুমকি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির দুটি মোটরসাইকেল একে-অপরকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল দুটি আমাদের অটোরিকশার সামনে ছিটকে পড়ে যায়। এসময় কুয়াকাটা থেকে আসা তুহিন পরিবহন অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে একটি মোটরসাইকেলের ওপরে উঠে যায়। এতে ছয় জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনের মৃত্যু হয়। 

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ওই যুবকের লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তুহিন পরিবহনের বাসটি আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।