পিরোজপুরে আ’লীগ-জেপি সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৪

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির (জেপি) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবারের (১৭ এপ্রিল) হামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছেন।

ভান্ডারিয়া জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদার বলেন, ‘উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের মির্জা বাড়ির ঈদগাহ ময়দানে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সংগঠন আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ জন্য প্রশাসনকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। রবিবার রাতে অনুষ্ঠানস্থলে প্যান্ডেল নির্মাণ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘সোমবার বাদ আছর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে  আমরা ভান্ডারিয়া থেকে তেলিখালীতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ সময় তারা জেপির ভান্ডারিয়া অফিস কার্যালয়ের সহকারী ইছারুল্লাহ নোমানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। দোয়া-মোনাজাত ও ইফতার শেষে আমরা ফেরার পথে তেলিখালী এলাকায় আমাদের উপর হামলা হয়। ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বাড়ি তেলিখালীতে। আমাদের উপর হামলাকারীরা তারই অনুসারী। হামলায় দৈনিক ইত্তেফাকের ভান্ডারিয়া সংবাদদাতা শঙ্কর জিৎ সমদ্দর সহ অপর তিন জন আহত হন। হামলায় আমাদের বহনকারী পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।’

ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, ‘তেলিখালীতে একটি ইফতার পার্টি শেষে জেপি (মঞ্জু) এর দলীয় নেতা-কর্মীরা ভান্ডারিয়ায় ফেরার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর কিছু সময় পরে ভান্ডারিয়া জেপি (মঞ্জু) এর দলীয় নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে দক্ষিণ শিয়ালকাঠী ঈদগাও মাঠ সংলগ্ন আমার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করে। পরে সন্ত্রাসীরা উপজেলা সংলগ্ন আমার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।’

দৈনিক ইত্তেফাকের ভান্ডারিয়া সংবাদদাতা শঙ্কর জিৎ সমদ্দার জানান, তিনি পেশাগত কাজে তেলিখালীতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন।

ভান্ডারিয়া থানার ওসি আসিকুজ্জামান জানান, তেলিখালী এলাকায় একটি ইফতার পার্টি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জেপি (মঞ্জু) গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন আছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, দুই পক্ষের লোকই আহত হয়েছেন।