প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাকে অপহরণ

পটুয়াখালীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে এক স্কুলশিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১১ জুন) সকাল ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের সংযোগ ব্রিজের ওপর থেকে তাকে অপহরণ করা। ওই শিক্ষকের বাবা গলাচিপা থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষিকা চলতি বছরের জানুয়ারিতে গলাচিপার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মাহামুদ রাব্বি তাকে উত্ত্যক্ত করে ও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। শিক্ষিকার সাড়া না পেয়ে আরেক সহযোগী স্থানীয় মনির দফাদারের ছেলে শিমুল (মোটরসাইকেল চালক) মিলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা ভুক্তভোগীকে নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

ভুক্তভোগীর বাবার দাবি, ‘থানায় অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত মেয়ের কোনও সন্ধান পাইনি। তবে রাব্বির স্বজনরা মেয়ে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, ‘রাব্বি আমার পরিচিত, কিন্তু কাছের কেউ নয়। একবার আমার সঙ্গে ওই স্কুলে গিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমিও ওই শিক্ষিকাকে খুঁজতেছি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমি পেছনের গাড়িতে আসছিলাম। এ সময় পথে আমাকে সহকারী শিক্ষকরা ঘটনাটি জানায়। পরে আমি ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের জানাই।’

গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, ‘আমার কাছে ওই শিক্ষিকার বাবা স্থানীয় রাব্বি ও শিমুলের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। একই সঙ্গে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন থানার বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘আমি ঘটনা জেনেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’