কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব : আরেক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু

বরিশাল নগরীর কাশীপুর বাজারে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে আহত আরেক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুইজন নিহত হলেন। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন।

রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরেক সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেনের। তিনি নগরীর দিয়াপাড়া দীঘির পাড় এলাকার তিনু মাঝির ছেলে। এর আগে গত ২৯ জুলাই সকালে ঘটনাস্থলে নিহত হন সবজি বিক্রেতা কামাল।

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলাকারী সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানার পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা চলছে। অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল সোহেল পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহের কাঠি গ্রামের মৃত সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। নগরীর ইছাকাঠি সড়কের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা কাশিপুর বাজারে মুদী ও কাঁচামাল বিক্রেতা।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত কামালের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে সোহেলকে ‍আসামি করে মামলা করেন।

আলমগীরের ভাগ্নে শহিদুল ইসলাম বলেন, অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শনিবার ঢাকায় নেওয়া হয় তার মামাকে। ওই দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাত ৯টার দিকে মারা যান।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ‍জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আলমগীর নিহত হওয়ার বিষয়টিও সংযুক্ত হবে।

স্থানীয়রা জানান, কাশিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন। গত ২৯ জুলাই সোহেল বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছিলেন। তখন ব্যবসায়ীরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সোহেল রাজি হননি। এতে তাকে বাজারের সবজি বিক্রেতা কয়েকজন মিলে মারধর করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় সোহেল তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন ব্যবসায়ীদের। এতে ওই দুইজনসহ পাঁচ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কামালকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।