হেলমেট ও মাস্ক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে হামলা, আহত ১০

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই ছাত্রাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ আহতদের।

হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম গ্রুপের ১০ জন আহত হন। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধুর হলের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান ও পদার্থ বিভাগের সাইমুন ইসলাম, শের-ই-বাংলা হলের মার্কেটিং বিভাগের সালাউদ্দিন, আয়াত, পদার্থ বিভাগের মিথুন সিকদার, প্রিয়ংকা বিশ্বাসসহ ১০ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হেলমেট ও মাস্ক পরিহিত ৫০ থেকে ৬০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী চিৎকার দিতে দিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। প্রবেশের মুখ থেকে শুরু হয় হামলা। তারা যাকে কাছে পেয়েছে তাকেই পিটিয়েছে। এরপর তারা বঙ্গবন্ধু ও শের-ই-বাংলা হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ এলে তাদের সামনেও চলে হামলা। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যাম্পাস দখলে নেয় প্রতিমন্ত্রী গ্রুপ। এতে সেখান থেকে সরে যেতে হয় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ গ্রুপের অনুসারীদের। এ ঘটনার জেরে এ হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ক্যাম্পাসের নির্ভরযোগ্য সূত্র। এর পূর্বে আরও দুইবার একইভাবে প্রতিমন্ত্রীর গ্রুপের অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল সাদিক অনুসারীরা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা অমিত হাসান রক্তিম অভিযোগ করেন, প্রক্টর আগেভাগে বিষয়টি জানতো এ কারণে তিনি ঢাকা গিয়েছেন। অথচ ইতোপূর্ব তার কাছে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকায় অবস্থানরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পূর্বে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে- সে সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। তাদের এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে এ বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। শিগগিরই ক্যাম্পাসে ফিরে এ অবস্থা যাতে আর না হয় সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।