‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নৌবাহিনীকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে’

নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী এবং টেকনোলজি সম্পন্ন স্মার্ট নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক সুনীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম সব রাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে বঙ্গোপসাগরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’ 

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৩ ব্যাচের ৬৭১ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে চৌকস ও প্রশিক্ষিত নাবিকের গুরুত্ব তুলে ধরেন নৌবাহিনী প্রধান।

নবীন নাবিকদের উদ্দেশে নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে নবীন নাবিকদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা, আনুগত্য ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। নৌবাহিনীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তুলবেন। আজকের নাবিকরা ভবিষ্যতে দেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষা করবেন।’ 

কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ শেষে কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন নৌবাহিনী প্রধান।

নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. তাহাজ্জত হোসেন তপু পেশাগত ও সব বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. ফারদিল হোসেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং আশিফুর রহমান আসিফ তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সহকারী নৌপ্রধান, খুলনা নৌ-অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, বরিশাল জেলার জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন, এরিয়া কমান্ডার পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।