সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আতিকুর রহমান (১১) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরেক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আতিকুর বাউফলের ফজলুর রহমান রাহিমিয়া দারুল উলুম নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী ছিল। সে বরিশালের বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিরাইল গ্রামের মো. সরোয়ার সরদারের ছেলে। 

আতিকুরের মামা হাসান মাহামুদ বলেন, ‌‘প্রায় তিন বছর ধরে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে আতিকুর। মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থাকতো। শনিবার বিকালে মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, শুক্রবার রাতের কোনও এক সময়ে আতিকুর মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে। পরে আমরা এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। একপর্যায়ে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয়। তখন তাকে চাপ দিলে সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ফজলুর রহমান মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক দেখিয়ে দেয়। সেখানে আতিকুরের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।’

বাউফল থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক বলেন, ‘শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীকে শনাক্ত ও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা, জানতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’