রাজাকারদের ক্ষমতায় বসাতে চায়, এজন্য সব জায়গায় ঘুরছেন পিটার হাস: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘ওরা ভুলে গেছে মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন বেঁচে থাকবে না। তবে তাদের সন্তানরা থাকবে। তাদের সন্তানদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে। তারা আর কোনোদিন রাজাকারের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেবে না। ১৯৭১ সালে যারা আমাদের পক্ষে ছিল না, এখন তারা আমাদের পক্ষে থাকবে—এটা ভাবার সুযোগ নেই। যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল তাদের অন্য দেশে আরাম-আয়েশে থাকতে আশ্রয় দিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরাই। ওটা মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে নাই। এখন দেশে কোনও জঙ্গির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে যায়।’ 

এখনও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যখন যুদ্ধ করছিলেন তখন পাকিস্তানের পক্ষে স্বাধীনতাকামী মানুষের বিপক্ষে ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা। যেহেতু যুদ্ধে আমরা জিতে গেছি, ওরা অপমানিত হয়েছে। অপমানের প্রতিশোধ নিতে এখন আবারও রাজাকারদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতে চায়। এজন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিশ্বাস রেখে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবো—এটাই আমাদের আজকের প্রতিজ্ঞা।’

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর কারা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছিল। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে মন্ত্রী বানানো হয়েছিল। শান্তি কমিটির নেতা আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। আর মুক্তিযোদ্ধারা ধুঁকে ধুঁকে মরতে ছিল, তাদের দিকে কারও খেয়াল ছিল না।’

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছি। কারণ তারা মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীরা গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরবে—এটা স্বাধীন বাংলাদেশে হতে পারে না। সেজন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ঘাতকদের বিচার করে আমরা প্রমাণ করেছি, রাজাকারদের এদেশে ঠাঁই নেই আর ঠাঁই হবে না।’

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নাজিরপুর থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু।