জন্মের পর জঙ্গলে কাঁদছিল নবজাতক

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর রাবেয়া ফজলে করিম মহিলা কলেজ সংলগ্ন জঙ্গলের ভেতর থেকে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ আসছিল। পথচারীরা আওয়াজ পেলেও তাদের ধারণা ছিল পার্শ্ববর্তী কোনও বাড়িতে কান্না করছে। কান্নার আওয়াজ বাড়তে থাকলে তারা বুঝতে পারেন জঙ্গলের ভেতর থেকে আসছে। ওই সময় এক ব্যক্তি জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে কাঁথায় মোড়ানো নবজাতককে কান্না করতে দেখে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

উদ্ধারকারী ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে জঙ্গলের ভেতর থেকে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনে এলাকার এক ছোট ভাই মোবাইলে বিষয়টি আমাকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে এসে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। এরপর উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।’

গৌরনদী মডেল থানার এএসআই আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘নবজাতক কন্যাশিশুটিকে কে বা কারা জঙ্গলে ফেলে রেখে গেছে। এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে তার বাবা-মায়ের পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌকির আহমেদ বলেন, ‘রক্তমাখা অবস্থায় নবজাতককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পুলিশ। দেখে মনে হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের যেকোনো সময় তার জন্ম হয়েছে। জন্মের পর জঙ্গলে রেখে গেছেন স্বজনরা। শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। চিকিৎসা দেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাকে আগৈলঝাড়া বেবিহোমে হস্তান্তর করা হবে।’