হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করলো আরেক আসামি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে অপর এক আসামি হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি প্রিজন সেলে থাকা আরেক আসামি অজিত মন্ডলকেও মারধর করে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় একজন নিহত হওয়ার মামলার আসামি ছিল।

আহত অজিত মন্ডল চুরি মামলার আসামি। সে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।

হামলাকারী তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। সে হত্যা মামলার আসামি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক জানিয়েছেন, নিহত আসামি মোতাহার বাথরুম থেকে বের হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তরিক তার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে মোতাহার সেখানে বিছানায় থাকা অজিতের ওপর গিয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিহত করতে গেলে বিছানার লোহার স্ট্যান্ড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। একপর্যায়ে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তরিককে আটক করে। হামলায় মোতাহার ও অজিত দুই জনই আহত হন।

মোতাহার কিডনি ও হার্টের সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ও অজিতকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

নিহতের মেয়ে নাসরিন জানান, গতকাল শনিবার তার এক ফুফু বাবাকে দেখতে প্রিজন সেলে আসেন। তখন তাকে বিভিন্ন ধরনের ফল কিনে দিয়ে যান। ওই সময় তার বাবা ফুফুকে জানিয়েছিল সুস্থ ও ভালো আছে। তাকে যেন হাইকোর্টের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসেন। আর তার জন্য চিন্তা করতে মানা করেন।

তিনি দাবি করেন, বাদীপক্ষের সঙ্গে অভিযুক্ত তরিকের কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। গতকাল বাদীপক্ষও প্রিজন সেলে এসেছিল তারা জানতে পেরেছেন। আর বাদীপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

বরিশাল কারাগারের জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, প্রিজন সেলে কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরতদের বিষয়েও তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে সব বিষয়ের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।