ঝালকাঠিতে জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

স্বাধীনতার পর যত সরকার এসেছে তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৫৪ বছরে (স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত) দেশে যত সরকার এসেছে তারা কেউই এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমরা আন্দোলন করে জালেমকে তাড়াতে পেরেছি কিন্তু জুলুমকে তাড়াতে পারিনি। এখনও দেশের মানুষের সঙ্গে একটি গোষ্ঠী জুলুম করছে। এই জুলুমকে তাড়াতে হলে দেশে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন ইসলামকে কায়েম করতে চাই।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি জেলা জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ইসলামি আইন কায়েম করতে হলে আগামী নির্বাচনে ইসলামিক দলগুলোকে ভোট দিতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার অবসান করতে হলে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দেশের জনগণ সংগ্রাম করেছিল, আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে নিয়েছে। ২০২৪ সালে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই এবং মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করলো না।

এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ১০ টাকায় চাল বিক্রির কথা বলে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যারা মানুষকে হত্যা করেছিল আর বলেছিল দেশ ছেড়ে যাবে না তারা পালানোর জন্য ইঁদুরের গর্ত খুঁজেও পায় নাই। ঝালকাঠির আশপাশে অনেক ভালো ভালো ইসলামি ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তারা ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠির মাটি ইসলামের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে এখানে ইসলামের পক্ষে জোয়ার উঠবে ইনশাল্লাহ।’

জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা ফকরুদ্দিন খান রাজি, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও শেখ নিমুল করিম প্রমুখ।