কোনও ব্যক্তি নয়, দেশের প্রয়োজনে জীবন বিলিয়ে দিতে হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২৫ ব্যাচের ৪৬৩ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষ হলো বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে। পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পতাকা হাতে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গের শপথ নেয় নবীন নাবিকরা।

এ সময় নবীনদের উদ্দেশ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি নয়, দেশের প্রয়োজনে জীবন বিলিয়ে দিতে হবে।’ নৌবাহিনীর এ ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নবীনরা ভবিষ্যতে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জন করবে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন নাবিকসহ সকল নৌসদস্যকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রবিবার সকাল ১০টায় বাদ্যের তালে শুরু হয় শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ। পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ড মুখর হয়ে ওঠে ৪৬৩ জন নবীন নাবিকের দৃপ্ত পদচারণায়। ২২ সপ্তাহের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলেন দেশের নৌনিরাপত্তার দায়িত্বে।

কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম শাখাওয়াত হোসেন। তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং  জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সেদিন দূরে নয় যখন আমরা দেশের ২০০ নটিকেল মাইল সমুদ্রসীমার বাইরেও নিরাপত্তা দিতে পারবো। নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সাবমেরিন সংযুক্তিসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে রক্ষা করার কাজে নৌবাহিনীকে সংযুক্ত করার চেষ্টা চলছে। সকল বন্দরগুলোকে নিয়ে একটি পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হচ্ছে।’

এর আগে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। নৌবাহিনীর ২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. গালিব আল মাহাদী অর্ণব পেশাগত ও সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জন করে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে। মো. হাসিব হোসেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. নাঈম গাজী তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করে।

শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।