নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের মধ্যে তিনটি ছাত্র হল। এখানে আসন সংখ্যা পাঁচশ’ হলেও বহিরাগতসহ থাকছে সহস্রাধিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির অনুমতি না থাকলেও রাজনীতি নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি সংঘর্ষের আশংকা সৃষ্টি হলেও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র নেতারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজের টেন্ডার ঠিকাদারদের পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। কিছুদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় অংকের কাজের টেন্ডার হওয়ার কথা রয়েছে। যাদের আধিপত্য বেশি ঠিকাদাররা তাদের কাছে টাকার থলে নিয়ে হাজির হবে। টাকা পেয়ে পরে ছাত্র নেতারা টেন্ডার ব্লক দেবে।
এদিকে, অনেক সময় ছাত্র নেতাদের চাহিদা মাফিক হলের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা অনিয়মগুলো নিয়ে মাথা ঘামান না। এছাড়া কুবির হলগুলোতে সাধারণ ছাত্রদের ভর্তির সুযোগ নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া ভর্তির সুযোগ কম।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আইনুল হক বলেন,সংঘর্ষের কয়েকদিন আগে দুই গ্রুপকে নিয়ে আমরা বসেছিলাম। তাদের কাউন্সেলিং করেছি। তাদের শান্ত রাখতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।
উল্লেখ্য, শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে কুবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের সঙ্গে কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সবুজ গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত হন। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
আরও পড়ুন:
কুবি ছাত্রলীগ নেতা নিহতের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
/বিটি/