ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে সেনাসদস্যের ক্ষতবিক্ষত লাশ

কুমিল্লাছুরিকাঘাতে এক সেনা সদস্যকে হত্যার পর তার ক্ষতবিক্ষত লাশ ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট স্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি স্বপন কান্তি বড়ুয়া জানান, ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করে দুষ্কৃতকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত ওই সেনা সদস্যের নাম আবদুর রহমান (৩০)। তিনি বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগ্যনাল ব্যাটেলিয়ানের সদস্য ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
ওসি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট স্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেল লাইনের মধ্যখানে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এসময় তার সঙ্গে পাওয়া মোবাইল ফোন থেকে তার ভাই আবদুর রহিমকে ফোন করা হলে তিনি ভাইয়ের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, আবদুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বগুড়া ক্যন্টেনমেন্টের ওয়ান সিগনাল ব্যাটেলিয়ানের সদস্য। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনদিনের ছুটি নিয়ে পটিয়া যান। পরীক্ষা শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে এ ঘটনার শিকার হন।

নিহতের লাশের সুরতাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী রেল পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নফিল উদ্দিন জানান, নিহতের মাথার ডানপাশে, পেছনে, ডান কানের ওপর-নিচসহ বুকে ও পেটে ছুরি চালানো হয়েছে। এছাড়া বাম হাতের কনুইয়ের ওপর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ডান হাতের মধ্যমা আঙুলটি ছিল কাটা।

খবর পেয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের ডিজিএফআই সদস্য আবদুস সালাম, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার  সহকর্মী সেনা কর্পোরাল সদস্য বিল্লাল হোসেন ও কামরুল হাসানসহ লাকসাম রেলওয়ে থানায় এসে আবদুর রহমানের লাশ শনাক্ত করেন। এছাড়া পিবিআই সদস্য এম এ খালেকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কর্মকর্তা লাকসাম রেলওয়ে থানায় এসে ওই সেনা সদস্যের লাশ দেখার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

/এইচকে/

কুবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বেড়েছে