নিজের দেশ নিরাপদ হলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা নির্যাতিত। নির্যাতনের পর তারা এই দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখন তারা এখানে থাকবেন। তাদের দেশ যখন নিরাপদ হবে তখন তারা ফিরে যাবে।’ তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান

আজ বুধবার (১লা মার্চ) দুপুরে তুমব্রু পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন মন্ত্রী। এসময় কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই আনসার ক্যাম্পটি। গত বছর ১৩ মে ভোর রাতে এই ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এ সময় লুট করা হয় ১১টি বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি।
সম্প্রতি র‌্যাবের দুটি অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি ৩ জনকে আটক করে ৫ টি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল র‌্যাব-৭। সর্বশেষ আরও একজনসহ অপর ৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য র‌্যাবকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় নুরুল আলমকে। নুরুল আলম টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যতম হোতাদের একজন বলে দাবি র‌্যাবের। তাকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু পশ্চিমকুল গহিন পাহাড়ে অভিযানে গিয়ে র‌্যাব সদস্যরা বুধবার সকালে ৬টি এসএমজি উদ্ধার করে। যা আনসার ক্যাম্পে লুটের অস্ত্র বলে শনাক্ত করেন আনসারের মহাপরিচালক।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি তিন জনকে আটক করে উদ্ধার হওয়া ৯টি অস্ত্রের মধ্যে ৫টি আনসারের বলে শনাক্ত করা হয়েছিল। এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার নুরুল আলমকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

/এফএস/

আরও পড়ুন- 


কাদের খাঁনের অবৈধ অস্ত্র-ভাণ্ডারের সন্ধানে পুলিশ