সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক পর্যটক

সাগর উত্তাল (ছবি: সংগৃহীত)বৈরী আবহাওয়া, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও সাগর উত্থাল থাকায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক পর্যটক। টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ ৩টি নৌ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ‘গত দুইদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল না করলেও নৌকায় করে করে অন্তত তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে শতাধিক পর্যটন সেন্টমার্টিন ছেড়ে গেলেও এখনও দুই শতাধিক পর্যটক রয়ে গেছেন। তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন।’

সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটক খুলনার খালিশপুরের কামরুল ইসলাম, শাহীন মজুমদার ও মনিকা চৌধুরীসহ অনেকেই জানিয়েছেন, তারা সেখানে নিরাপদে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসন সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপরও নৌকায় করে অনেকের সেন্টমার্টিন যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত পর্যটকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।  ২৪ ঘণ্টায় ৬৯মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সাগর উত্থাল রয়েছে।

জেলা বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক জানিয়েছেন, সতর্ক সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো উপকূলে আসতে শুরু করেছে। তবে এখনও সাত শতাধিক ট্রলার সাগরে রয়ে গেছে।

মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়া জানিয়েছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সন্ধা ৬টা থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর সন্ধ্যার আগে থেকে কুতুবদিয়া-মগনামা নৌ রুটে নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আবদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শনিবার এসব পর্যটককে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে।’

/এফএস/

আরও পড়ুন- 



দুই যুগেও বাড়েনি কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা