মনিরুল হক সাক্কুর ইশতেহার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ছিল অতীতের উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি। এছাড়া তার ইশতেহারের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার ইশতেহারে রয়েছে।
১১ পৃষ্ঠায় সাক্কুর ২৭ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন, হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানো,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর নামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, লালমাই ও ময়নামতি পাহাড়ের নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের জন্য মাতৃভাষা কেন্দ্র স্থাপন, উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের নামে কুমিল্লা নগরে একটি সংগীত কলেজ স্থাপন, কুমিল্লা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কুমিল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, নগরের দক্ষিণাঞ্চলে মেয়েদের জন্য দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নগরীর পশ্চিম অংশে ছেলেদের জন্য একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, সাবেক পৌরসভাগুলির নিয়ন্ত্রণে থাকা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে আধুনিকীকরণ,নগর সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র স্থাপন, নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের কীর্তিমানদের নামে একটি করে পাঠাগার স্থাপন, সংস্কৃতি চর্চা ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ বাড়ানোর জন্য মিলনায়তনগুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন,লালমাই, ময়নামতি এবং গোমতী নদীকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, সংগঠক এবং শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, কর্মজীবী নারীদের জন্য নিরাপদ হোস্টেল স্থাপন, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, নালা নির্মাণ, নগরের দক্ষিণ এলাকায় স্টেডিয়াম নির্মাণ, সড়ক ও স্থাপনার নাম মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ, নিউমার্কেটে আইটি সেন্টার স্থাপন, কাঁচাবাজার সংস্কার, হকার পুনর্বাসন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসন, বস্তিবাসীর উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব ধর্মের জন্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং কর ও পানির বিল মওকুফ, প্রবীণ নাগরিক ও নারীদের নগর ভবনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবাদান, কুমিল্লাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করা এবং কুমিল্লা বিভাগের নাম কুমিল্লা রাখা।
ইশতেহার ঘোষণার সময় সাক্কু বলেন, ‘প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম পরিবর্তনে যে কোনও অপচেষ্টা প্রতিহত করতে আমরা কুমিল্লাবাসী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যের নেতৃত্বে থাকবে কুমিল্লা মহানগর। আর তাই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে কুমিল্লার মর্যাদা রক্ষার নির্বাচন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক মোস্তাক মিয়া।
এর আগে গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ২৯ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন। আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
/বিএল/
আরও পড়ুন: