২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ: ইলিশ ধরতে নদীতে জেলেরা

IMG_7558 copyপদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার দুই মাস শেষ হয়েছে। পহেলা মে সোমবার থেকে নদীতে মাছ ধরতে আর মানা নেই। দীর্ঘ দুই মাস প্রতীক্ষা শেষে জেলেরা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরবে এই আনন্দে ডাঙায় তোলা নৌকাগুলো জলে ভাসাতে শুরু করেছে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকায়সহ দেশের ৫টি অঞ্চলে এ কর্মসূচি চলে আসছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানান, জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনাসহ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তাই চাঁদপুর অঞ্চরে ৪১ সহস্রাধিক জেলে রবিবার মধ্য রাত থেকেই মাছ ধরতে পারবে।

সফিকুর রহমান আরও জানান, গত দু’ মাস চাঁদপুরের হাইমচর চরভৈরবী এলাকার জেলেরা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিল। এ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও হাইমচর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মৎস্য অধিদফতরের তত্বাবধানে ও ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের ওয়ার্ল্ডফিশ ও সিএনআরএস’র সহায়তায় চরভৈরবী মাছঘাট গ্রুপ ও ইলিশ সংরক্ষণ দলের আয়োজনে রবিবার (৩০ এপ্রিল) চরভৈরবী মাছঘাটে জেলেদের ধন্যবাদ ও নিষেধাজ্ঞা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত প্রায় ৫০০ জেলেকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এতে জেলেদের মাঝে আরও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও নানা দিক তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন, স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ মুন্সি ভুট্টো, ইকোফিশ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের প্রতিনিধি, সিএনআরএস’র প্রকল্প কর্মকর্তাবৃন্দ এবং হাইমচর উপজেলার ইলিশ সংরক্ষণ দল, মাছঘাট গ্রুপের সদস্য, আড়তদাররাসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, জাটকা ইলিশের পাঁচটি প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র নিন্ম পদ্মা ও মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল, তেতুলিয়া নদী ও আন্দার মানিক নদী। জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার এ দুই মাস বেকার তালিকাভুক্ত প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি করে চালসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয় সরকার। তবে এ সহায়তা অপ্রতুল বলছে জেলেরা।

/এআর/