ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় দুই জন আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোবারকপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক তরুণীকে অপহরণের পর দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ মে মধ্যরাতে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউখালী থানার এসআই  মো.সুজন।

আটককৃতরা হলো, মো. মোস্তাফা (২৯), মো. নাছের (৩৫)। ২২ মে রাত ১২টার দিকে নাছেরকে ঘগড়া বাজার থেকে এবং মোস্তফাকে ৩টার দিকে তার বাড়ি গোদারপার থেকে আটক করে পুলিশ।পরে ২৩ মে সকালে তাদের রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তোলা হয়। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।তারা মূল আসামি নরুল আলমের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তিন পার্বত্য জেলার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক টুকু তালুদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই সহযোগীকে পুলিশ আটক করেছে শুনেছি, কিন্তু মূল আসামি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মূল আসামি বাইরে থাকায় অপহৃতার পরিবার ভয়ে আছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত তাকে আটক করা হবে। 

এ ব্যাপারে কাউখালী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সুজন বলেন, ‘গোপন সংবাদেরভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। মূল সহযোগী মো. মোস্তফা অপহরণের কথা স্বীকার করেছে।

মো.মোস্তফা বলেন,‘নুরুল আলমের জন্য আমাদের আজ এই অবস্থা।’

প্রসঙ্গ, গত ৯ মার্চ বিকালে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপজেলার ঘাগড়া-কাউখালী সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষার সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়। গত ৪ মে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ১০ মে রাতে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৩ নং ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আলম (৩০)এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: প্রশস্ত হচ্ছে কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা সড়ক