ভারী বর্ষণে জলমগ্ন নোয়াখালী পৌর এলাকা, জনদুর্ভোগ চরমে

 ভারী বর্ষণে নোয়াখালীতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি

নোয়াখালীতে গত দুই দিনের ভারী বর্ষণে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরা। বাড়িগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

জেলা জামে মসজিদ সড়ক, সার্কিট হাউস সড়ক, ইসলামীয়া সড়ক, কৃষ্ণরামপুর রেসিডেনসিয়াল স্কুল সড়ক, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিনারায়ণপুর, মাইজদি হাউজিং অ্যাসটেট, নোয়াখালি সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ফকিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো জলমগ্ন রয়েছে।

এছাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দোকানপাট, সরকারি অফিস ও সরকারি আবাসিক এলাকায় বাসাবাড়ির সামনে হাঁটুপানি জমে আছে। শহরের সোনাপুর, দত্তেরহাট এলাকা এবং জেলা সদরের কাদিরহানিফ,অশ্বদিয়া, বিনোদপুর ইউনিয়নেরর বিভিন্ন স্থানে কাঁচা সড়ক ও মৎস্য খামার ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল ও প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।

ভারী বর্ষণে নোয়াখালীতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি ২

জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. আসাদ উল্লাহ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে নোয়াখালী জেলা শহর। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ অচলাবস্থা চলছে।

ভুক্তভোগী পৌরবাসী রিয়াজ জানান, এক দিনের ভারী বর্ষণে নোয়াখালী জেলা শহরের প্রায় রাস্তায় পানি উঠে। আর টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে কার্যত পানিবন্দি হয়ে পড়ে শহরবাসী। শহরের প্রায় সড়কগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে করে সৃষ্টি হয় নানা রকম জনভোগান্তি।

নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র জনাব শহীদ উল্ল্যাহ খাঁন সোহেল বলেন, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পগুলো পাশ হলে খুব দ্রুত কাজ করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ খাল দখল করে যারা পানি বন্ধ করে রাখছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জলাবন্ধতা নিরসনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: সরিষাবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত